ভিসা ফি ছাড়াই পাওয়া যাবে ইউকে ভিসা
বিশ্ব অর্থনীতি ও প্রযুক্তির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এখন দেশগুলো শীর্ষ মেধাবীদের আকর্ষণে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসার ফি হঠাৎ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ডলার, অন্যদিকে যুক্তরাজ্য উল্টো পদক্ষেপ নিয়ে বৈশ্বিক প্রতিভা অর্জনের পথ আরও সহজ করতে চাইছে। এই দ্বৈত পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মেধাবী অভিবাসীদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।
আরো পড়ুন - জার্মানিতে ৩০টি চাহিদাসম্পন্ন চাকরি ও বেতন >
যুক্তরাষ্ট্রের (USA) নতুন ভিসা নীতি
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন অভিবাসীদের জন্য বহুল ব্যবহৃত এইচ-১বি ভিসার বার্ষিক ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে এক লাফে এক লাখ ডলার করা হয়েছে। প্রযুক্তি খাতসহ অন্যান্য সেক্টরে এই ভিসার ব্যাপক ব্যবহার থাকায় সিদ্ধান্তটি অভিবাসী বিশেষজ্ঞদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ইউকে ভিসা নীতিতে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ
অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন সরকার মেধাবীদের আকর্ষণে ইউকে ভিসা ফি বাতিলের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট টাস্কফোর্স’ নামের একটি বিশেষ কমিটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী, গবেষক ও ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের যুক্তরাজ্যে আনার জন্য কাজ করছে।
এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বিশ্বের সেরা পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কিংবা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা ভিসা ফি ছাড়ের আওতায় পড়তে পারেন। বর্তমানে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ইউকে ভিসার আবেদন ফি ৭৬৬ পাউন্ড, যা পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও সমান হারে প্রযোজ্য।
ইউকে ভিসার মাধমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কৌশল
স্টারমার সরকার মনে করছে, ইউকে ভিসা প্রক্রিয়ায় এই ধরনের সংস্কার দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেবে। কারণ বৈশ্বিক প্রতিভাবান ব্যক্তিদের যুক্ত করা মানেই নতুন উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি—যা ব্রিটিশ অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী করবে। আগামী বাজেট ঘোষণার আগে এই পরিকল্পনা নিয়ে ট্রেজারি ও ডাউনিং স্ট্রিটের আলোচনাও চলছে।
উপসংহার
যুক্তরাষ্ট্র যেখানে অভিবাসী দক্ষ জনশক্তির প্রবেশকে ব্যয়বহুল করছে, যুক্তরাজ্য সেখানে উল্টো পথে হেঁটে প্রতিভাবান অভিবাসীদের জন্য সুযোগ সহজ করছে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার এই সময়ে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মেধাবীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।